প্রেমিকার ডাকে ভারতে গিয়ে বাংলাদেশী যুবকের তিন বছর হাজতবাস!

প্রেমিকার ডাকে ভারতে গিয়ে বাংলাদেশী যুবকের তিন বছর হাজতবাস!

প্রেমিকার ডাকে ভারতে গিয়ে বাংলাদেশী যুবকের তিন বছর হাজতবাস!
প্রেমিকার ডাকে ভারতে গিয়ে বাংলাদেশী যুবকের তিন বছর হাজতবাস!

স্টাফ রিপোর্টার: প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে। সেই ফাঁদেই পা দিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে কাঁটাতার পেরিয়ে এপারে এসেছিলেন বাংলাদেশের বাসিন্দা মহম্মদ কবীর হোসেন। কিন্তু যাঁর জন্য এসেছিলেন, সেই প্রেমিকার অভিযোগেই ঠাঁই হয় মুর্শিদাবাদের কারাগারে। ৩ বছর গারদে কাটানোর পর অবশেষে আদালত মুক্তি দিয়েছে তাকে। কারাগার থেকে বেরিয়ে তাই চোখের জল বাঁধ মানছে না কবীরের।

আদতে বাংলাদেশি নোয়াখালির বাসিন্দা কবীরের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল মুর্শিদাবাদের ডোমকলের এক তরুণীর। কথোপকথন এগোনোর পরেই সম্পর্ক গাঢ় হয়, তরুণীর প্রেমে পড়েন কবীর। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে সীমান্ত পেরিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দমকলে এসে পৌঁছান কবীর। কিন্তু প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হতো দূর উল্টে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। জানা যায়, প্রেমিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন খোদ প্রেমিকাই!

তারপর থেকেই হাজতবাস তাঁর। শুরুর দিকে কোনও আইনজীবী ও তাঁকে সাহায্য করতে রাজি হননি। অবশেষে কিছুদিন আগে তাঁর কাহিনী গিয়ে পৌঁছায় জেলা আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের কর্তা ব্যক্তিদের কাছে। তারপরেই আইনজীবী নীলাঞ্জন পান্ডেকে বিনামূল্যে তাঁর হয়ে মামলা লড়ার জন্য নিয়োগ করা হয়। সেই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি। তারপরেই কবীরকে বেকসুর খালাস করে মুর্শিদাবাদ জেলা আদালত।

কবীরের আইনজীবী নীলাঞ্জন পান্ডে জানিয়েছেন, কবীরকে নিজের কিছু ব্যক্তিগত ছবি পাঠিয়ে ছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু পরে তাঁর মনে হয়, সেই ছবি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারেন কবীর! তাই সেই আতঙ্ক থেকেই ছলে-বলে-কৌশলে প্রেমিককে এপারে ডেকে আনেন তিনি। তারপর তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেন। অবশেষে প্রায় তিন বছর জেলে কাটানোর পর বেকসুর খালাস পেয়েছেন কবীর।

‘ভালবাসার নামে এদেশে এসে এমন ভাবে জেল খাটতে হবে ভাবিনি!’ মুক্তির আনন্দ, নাকি ভালবাসায় প্রতারিত হওয়ার যন্ত্রণা? গলা বুজে এল কবীরের।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply